রাজশাহী: আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম ও উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৮ম সমাবর্তন।
এ উপলক্ষে শুক্রবার থেকে নিবন্ধিত ডিগ্রিধারীদের একাডেমিক কস্টিউম বা সমাবর্তন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার রাবির শতাধিক নিবন্ধিত ডিগ্রিধারী সমাবর্তন পোশাক নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমাদের যে গাউড দেওয়া হয়েছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধার করে আনা। এগুলো অত্যন্ত নোংরা এবং অপরিস্কার। আমরা নির্দিষ্ট ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছি। অথচ আমাদের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাউন পড়ে সার্টির্ফিকেট নিতে হবে। এটি মেনে নেওয়া যায় না|’’
তারা আরও অভিযোগ করেন, “প্রশাসন ২ বছর ধরে সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিয়ে যে পোশাক উপহার দিলো, তা চরম হতাশাজনক। এটি বর্তমান প্রশাসনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ দেয়। একইসঙ্গে সমাবর্তনের নামে যে সাজসজ্জা করা হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। ”
দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশি সময় পর রাবির ৮ম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি ও শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব করার বিষয়টির চরম সমালোচনা করেন নিবন্ধিত ডিগ্রিধারীরা।
এছাড়া বিশ্বায়নের যুগে সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও আনা সম্ভব বলে মনে করে তারা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ নূরুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের যে পরিমাণ সমাবর্তন পোশাক ছিল, তা সব নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু সংখ্যক অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনা হয়েছে। এটি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও করে থাকে। তবে এগুলো যথেষ্ট মানসম্পূর্ণ । ”
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে যে সাজসজ্জা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে, তা যথাযথ বলে মনে করেন তিনি।
রোববার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতিত্ব করবেন আচার্য ড. জিল্লুর রহমানের মনোনীত প্রতিনিধি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটরস ড. আনিসুজ্জামান।
এবারের ৮ম সমাবর্তনে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত ৭ হাজার ২১ জনকে পিএইচডি, এমফিল, এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীকে মূল সনদ দেওয়া হবে। বিতরণ করা হবে। এদের মধ্যে শিক্ষক রয়েছেন ৬শ ৩৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর eic@banglanews24.com