যশোর: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে দেশের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে যশোর জেলা। যশোরে এ বছর ৪৬ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে ৪৬ হাজার ৯৪৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ জেলার পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর শতভাগ পাস করে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে লালমনিরহাট জেলা।
যশোরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ২৯১ জন। অপরদিকে জেলায় ইবতেদায়ী সমাপনীতে ৬ হাজার ২৮৭ জনের মধ্যে পাস করছে ৬ হাজার ৪৩ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ । জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১১ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান সমাপনী পরীক্ষার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক, সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ও শিক্ষকরা।
যশোর জেলার সার্বিক ফলাফলে জানা গেছে, এ বছর যশোর জেলায় ১ হাজার ৬৮৫টি স্কুলের প্রাথমিক সমাপনীতে ৪৬ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে ৪৬ হাজার ৯৪৩ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ২৯১ জন।
ইবতেদায়ীতে ৩৪১ টি মাদ্রাসার ৬ হাজার ২৮৭ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১১ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
জেলার মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ৫ উপজেলা কেশবপুর, বাঘারপাড়া, ঝিকরগাছা, শার্শা ও যশোর সদর থেকে শতভাগ পাস করেছে। অপরদিকে, ইবতেদায়ী সমাপনীতে শার্শা উপজেলা শতভাগ পাস করেছে।
কেশবপুর উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৪ হাজার ২ জনের সবাই পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৪ জন, পাসের হার শতভাগ। ইবতেদায়ীতে ৮৬১ জনের মধ্যে ৮৪০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৫ হাজার ৬২২ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজর ৪০৭ জন। ইবতেদায়ীতে ৫৯৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫৯৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বাঘারপাড়া উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৩ হাজার ২৩৫ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০৬ জন, পাসের হার শতভাগ। ইবতেদায়ীতে ৮৭৩ জনের মধ্যে ৮৭০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ জন। পাসের হার ৯৯ দশকি ৬৬ শতাংশ।
শার্শা উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৫ হাজার ৫১১ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জন। পাসের হার শতভাগ। ইবতেদায়ীতে ৭০২ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। পাসের হার শতভাগ।
সদর উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ১২ হাজার ৭৭২ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯২৬ জন। পাসের হার শতভাগ। ইবতেদায়ীতে ১ হাজার ৬৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৪০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
মণিরামপুর উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৭ হাজার ২৮৯ জনের মধ্যে ৭ হাজার ২৮৬ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১৬ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৫ জন। ইবতেদায়ীতে ১ হাজার ২৫৯ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৮ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
অভয়নগর উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৪ হাজার ৮৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫৬ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে ৫২৬ জনের মধ্যে ৫২১ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
চৌগাছা উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে ৪ হাজার ৪৩৯ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৩ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮১ জন। পাসের পার ৯৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে ৪০৪ জনের মধ্যে ৩৭৪ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বাংলানিউজকে জানান, ২০১২ সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় যশোর ভালো ফলাফল করেছে। প্রাথমিক সমাপনীতে দেশের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
ভালো ফলাফল তিনি জানান, পরিকল্পিত পাঠদান, শিক্ষকদের আন্তরিকতার কারণে ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর