সিলেট: ফলাফলের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভীড় নেই। ফল টানানোর পরও নেই উল্লাস।
মোবাইল আর কম্পিউটারের যুগে উবে গেছে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাসের উপচে পড়া ভীড়। এখন বাসায় বসেই শিক্ষার্থীরা এসএমএস আর ইন্টারনেটে জেনে নিচ্ছে ফল। তাই দল বেঁধে স্কুলে আসার পালাও চুকে গেছে।
বৃহস্পতিবার জেএসসি ও জেডিসি, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল প্রকাশিত হওয়ার পর এমনই চিত্র সিলেট নগরীর সেরা স্কুলগুলোর। সারাদেশেও একই চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (www.dpe.teletalk.com.bd) থেকে ফলাফল জানা যাচেছ। মোবাইলে এসএমএসেও ফল আসছে।
এই পদ্ধতিতে নাখোশ সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বাবলী পুরকায়স্ত। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “এখন ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসছে না ফল নিতে। স্কুলের আনন্দ উবে গেছে। ”
একই অভিমত ব্যক্ত করেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম। তিনি বাংলনিউজকে বলেন, “বছরে একটিমাত্র দিন ছাত্র-শিক্ষকরা আনন্দে ভেসে ওঠেন। সেই ফলাফলের আনন্দ এখন বাসায় ঘরের কোণে চলে গেছে। স্কুলে আসছে মাত্র কয়েকজন। ”
জেএসসিতে পাশের দিক থেকে সিলেট বোর্ডের শীর্ষ পাঁচ স্কুল সিলেট ক্যাডেট কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ব্লুবার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট সরকারি পাইলট উচচ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন ছুটিতে স্কুলগুলো এমনিতেই শিক্ষার্থী শূন্য। জেএসসি ও পিএসসি ফল নিতে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও হাতে গোনা।
তবুও নিয়মের খাতিরে এসব স্কুলের বোর্ডে টানানো হয়েছে শিক্ষার্থীর নামসহ ফলাফল। তবে নেই ভীড় আর ঠেলাঠেলি। হাতে গোনা কয়েকজন বোর্ডে খুঁজে বের করছে ফলাফল।
অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ফাবিহা নোশীন বাংলানিউজকে বলে, “জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমি আনন্দিত, আমি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চাই। তবে আমার অনেক বান্ধবী মোবাইল ফোনে রেজাল্ট জেনে ফেলায় আর স্কুলে আসেনি। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
এসএ/সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর