ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বৃহস্পতিবার বজলুর রহমান হল উদ্ধার করবে জবি শিক্ষার্থীরা

ইমরান আহমেদ ও আদনান রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৪
বৃহস্পতিবার বজলুর রহমান হল উদ্ধার করবে জবি শিক্ষার্থীরা

জবি: পুরান ঢাকার বংশালের ২৬ নম্বর মালিটোলায় অবস্থিত বজলুর রহমান হল উদ্ধার করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।



তিনি বলেন, বেদখল হল উদ্ধারের চলমান আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বজলুর রহমান হল উদ্ধার করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ অনুযায়ী বিলুপ্ত কলেজের সব সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে মুসিহ মুহিত অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

ফার্মটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, তৎকালীন কলেজের ১২টি হল ছিল। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে হলগুলো বেদখল হয়। ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা হলে নীতি-নির্ধারণী মহলের টনক নড়ে। একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক মাসের মধ্যে ১২টি হল ও বেদখল অন্যান্য সম্পত্তি উদ্ধারে সুপারিশ করতে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। ২০০৯ সালের মার্চে  হলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে লিজ দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

একই বছরের ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভূমি মন্ত্রণালয়ে হলের দীর্ঘমেয়াদি লিজের আবেদন করে। ৯ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক আইনগত সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়কে হলগুলো লিজের পরিবর্তে অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে বললেও একাধিক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা ও আইনি জটিলতায় হল উদ্ধার কার্যক্রম থমকে আছে।

এদিকে, ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ জায়গায় অবস্থিত বংশালের ২৬ নং মালিটোলার হলটি তৎকালীন অখন্ড ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা দখল করে তৈরি করেছেন স্কুল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলে জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়’। আর এ স্কুলের তত্ত্বাবদানে রয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। বর্তমানে স্কুলটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দখলে আছে। হলটির কিছু অংশ স্থানীয়রা দখল করেছে। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্ররা হলটি ছাড়ে শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বংশালের ২৫ এবং ২৬ নং হোল্ডিং একসাথে করে বানানো হয়েছে স্কুলটি। তবে স্কুলটির ঠিকানায় হোল্ডিং নং ২৬ ব্যবহার করা হয়েছে। আর এ স্কুলের নাম ফলক ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সভাপতি রহমত আলী, প্রভাবশালী ইসহাক ও হারুন বলে জানান নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ নম্বর মালিটোলা টিন শেডের ইউ আকৃতির তিনটি ভবন অবস্থিত জায়গাটির মালিকানা দাবি করছে মোহাম্মদ আলী।

এদিকে, যেকোনো মূল্যে হলটি দখল করবে বলে জানান, আন্দোলনের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।