ঢাকা: মাত্র দু’বছরে দুই লাখ ৯ হাজার ৯১৩ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী (এইচএসসি) শিক্ষা জীবনকে বিদায় জানিয়েছে। ২০১৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ২০১২ সালে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা হিসেব করে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে করেন। সেখানে এ পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য দু’বছর আগে নিবন্ধন করেছিল সর্বমোট ১১ লাখ ২৬ হাজার ৪৮১ জন। এদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছে ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫৬৮ জন। অর্থাৎ, ২ লাখ ৯ হাজার ৯১৩ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
দশটি বোর্ডের ঝড়ে পরার হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২ লাখ ৯ হাজার ৯১৩ জন শিক্ষার্থীর ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩ জনই ছাত্রী। আর ছাত্রের সংখ্যা ৯৮ হাজার ২৪০ জন।
এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৫০ হাজার ৮৯১ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২১ হাজার ৫৪০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ২৫ হাজার ৪৯৪ জন, যশোর বোর্ডে ২৩ হাজার ৬৬১ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১১ হাজার ৭৯৫ জন, বরিশাল বোর্ডে ১০ হাজার ৫৫৫ জন, সিলেট বোর্ডে ৭ হাজার ১১৮ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১৮ হাজার ৮২ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৩০ হাজার ১৫৩ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৯ হাজার ৯৯৪ জন ও ঢাকা বোর্ডের অধীন ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজে (ডিআইবিএস) ৬৩০ জন।
ঝড়ে পরা কমানো যাচ্ছে না কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এ ঝড়ে পড়ে হার কমানো যাচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অনেকেই এসএসসি পাশ করার পরে আর পড়াশুনা চালাতে পারছে না।
তিনি জানান, আমাদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হলে কেবল এ ঝড়ে পরার হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যসহ নানা কারণে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে। এর কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি বলেন, ঝড়ে পড়ার হার আগের চেয়ে কমেছে। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা আরও হ্রাস পাবে।
ঝড়ে পড়া নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক অনুসন্ধান চালায়। সেখানে দারিদ্র্য ছাড়াও ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে যাওয়া, ইভটিজিং, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব ইত্যাদি কারণ বেরিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা এপ্রিল ২, ২০১৪