বাকৃবি: সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) দিবস। এদিন কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় দেশসেরা এ প্রতিষ্ঠানটি পা দিচ্ছে ৫৪ বছরে।
১৯৬১ সালের এই দিনে ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম প্রান্তে সবুজে ঘেরা নৈসর্গিক পরিমণ্ডলে ১২০০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
উচ্চতর কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার পথিকৃৎ দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এ বিদ্যাপীঠটি ধীরে ধীরে অতিক্রম করেছে ৫৩টি বছর।
১৮ আগস্ট সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
এদিন ভোরে সব আবাসিক হল ও আবাসিক ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রা, ১১টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ‘কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও গাছের চারা বিতরণ করবে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ভেটেরিনারি ও কৃষি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাকৃবি। সময়ের পরিক্রমায় পশুপালন, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ চালু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬টি অনুষদের আওতায় ৪৩টি বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৫৬০ জন ও শিক্ষার্থী ৫ হাজার ৩৭২ জন।
বাকৃবিতে ছেলেদের ৯টি ও মেয়েদের ৩টি হলসহ মোট ১২টি আবাসিক রয়েছে। রয়েছে কৃষি বিষয়ক কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও সেন্টার। এর মধ্যে হচ্ছে দেশের প্রথম কৃষি জাদুঘর এবং মৎস্য জাদুঘর, ব্যবহারিক ও গবেষণার জন্য জার্মপ্লাজম সেন্টার, সিড প্যাথলজি সেন্টার, ভেটেরিনারি ক্লিনিক, প্ল্যান্ট ডিজিজ ক্লিনিক, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার। আরো রয়েছে বিরল বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ বোটানিকেল গার্ডেন। যেখানে রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় অসংখ্য উদ্ভিদ।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হিসেবে রয়েছে জামালপুরের মেলান্দহে অবস্থিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজ।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ১৮ আগষ্ট বাকৃবি পরিবারের জন্য একটি বিশেষ দিন। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা দিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে আরও কার্যকর ও ত্বরান্বিত করে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রত্যাশা বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪