ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এডিবির প্রতিবেদন

শিক্ষায় পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৪
শিক্ষায় পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

ঢাকা: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আইসিটি, শিক্ষা, নলেজ ইকোনমি ও উদ্ভাবনী সূচকে তলানীর সারিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ২৮টি দেশের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।


 
বুধবার সকালে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিন্দু লোহানি অর্থমন্ত্রীর কাছে এই গবেষণা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
 
জরিপে বাংলাদেশ শিক্ষায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। এখানে নিচের দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সূচক হচ্ছে ১.৭৫। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান, সূচক ১.৪৪।
 
পাকিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে নেপাল ও কম্বোডিয়া। ৯.০৯ পয়েন্ট নিযে শীর্ষে রয়েছে কোরিয়া। যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন ও তাইপে।
 
শিক্ষার সূচক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বেশ ভালো অর্জণ রয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকে তেমন মনোযোগ দেওয়া যায় নি। অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিশেষ করে গবেষণার উপর জোর দিতে হবে।
 
তথ্য প্রযুক্তি
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান হাতিয়ার তথ্য প্রযুক্তি খাতের সূচক চরম হতাশাজনক। ১.০১ পয়েন্ট নিয়ে ২৬ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এখাতে বাংলাদেশের চেয়ে নিচে রয়েছে কম্বোডিয়া ও মায়ানমার।
 
৯.০৬ সূচক পেয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে চীন ও তাইপে। তথ্য প্রযুক্তি সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান আঠারোতম।
 
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই খাতে এগিয়ে যাওয়ার আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। ভুটান যেমন তাদের হাইড্রো বিদ্যুৎকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেছে। আমরা তেমনি আইসিটিকে ব্যবহার করে, জাম্প দিতে পারি। এডিবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দ্রুত এগিযে যাচ্ছে। তবে জাম্প দিতে হলে আইসিটিকে শক্তভাবে ধরা প্রয়োজন।
 
নলেজ ইকোনমি 
এই সূচকে ১.৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ২৭ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। একধাপ পিছিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মায়ানমার। বাংলাদেশের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তার উপরে রয়েছে ভারত। ৮.৭৭ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে চীন ও তাইপে।
উদ্ভাবনী সুচকে বাংলাদেশের অবস্থান সাতাশ নম্বরে। বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মায়ানমার। এই সূচকে ৯.৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এই অঞ্চলের দেশ গুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ভালো। ৪.৫ পয়েন্ট নিয়ে এগারোতম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটি।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি কিছু ভালো কাজ করছে। তাদের এই স্ট্যাডিটি একটি ভালো বিষয়। খুবই কাজে দিবে। তিনি বলেন, ’৯০ এর আগে পর্যন্ত ২০ বছরে দেশে উন্নয়ন স্থবির হয়েছিলো। তখন জিডিপি ছিলো ৪ শতাংশের মতো।
 
২০ বছর পিছিয়ে না গেলে বাংলাদেশ এখন উন্নত-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় থাকতো বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু জাম্প দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য লিফট হতে পারে আইসিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।