জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংবাদিকদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জবি সাংবাদিক সমিতির ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন, আলোকিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান তুফান, দৈনিক বর্তমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুব্রত মণ্ডল, সকালের খবরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তানভীর রায়হান, দৈনিক সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহীন, দৈনিক অর্থনীতি প্রতিদিনের সাংবাদিক রাজ গুরুতর আহত হন।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হামলায় মারাত্মক আহত সুব্রত মণ্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, সম্প্রতি ভুয়া পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) ব্যবহারকারী দুই সাংবাদিককে চিহ্নিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংবাদিক সমিতি। এর জের ধরে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জসীম রেজার সঙ্গে বর্তমান সভাপতির বাগবিতণ্ডা হয়।
এরপর জসীম রেজার নেতৃত্বে নয়া দিগন্তের সাংবাদিক সোজাউল ইসলাম বাবু, সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আল-আমিন হোসেন, প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মূসা আহমেদ, দৈনিক মানবজমিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি গোলাম মাওলা রুমি, নতুন বার্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহফুজ রহমান ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়পত্রধারী মিরাজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম লাঠি-সোঁটা নিয়ে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর মোবারক হোসেনসহ ছয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে প্রবেশ করলে তাদের ওপর হামলা করেন তারা।
জবির উপচার্য ড. মীজানুর রহমান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। এ ধরণের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ’
উল্লেখ্য, ভুয়া দুই সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম এবং রফিকুল ইসলাম দুইজনই জবি সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। তারা দৈনিক ভোরের পাতা ও ইংরেজি দৈনিক পিপলস্ টাইমসের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে সাংবাদিক সমিতির সদস্যপদের জন্য আবেদন করেন। পরে পরিচয়পত্র নকল হিসেবে চিহ্নিত হলে তাদের আজীবনের জন্য সাংবাদিক সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪