রাবি(রাজশাহী): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে পিটিয়ে আহত করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, ৩১ আগস্ট ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রলীগের সমাবেশের কথা বলে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মনিরের কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন ফোনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে গিয়ে দেখা করতে বলেন। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে তুহিনকে তাঁর দপ্তরে ডেকে পাঠান।
পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তার কার্যালয়ে গিয়ে অর্ভ্যথনা কক্ষে অপেক্ষা করতে থাকেন।
এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি ও মামুন-অর-রশীদসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী প্রথমে প্রশাসন ভবন-২ এ অবস্থিত প্রকৌশলীর দপ্তরে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে দপ্তরে সুমন নামে এক কর্মচারীকে মারপিট করেন।
এরপর সেখান থেকে খবর পেয়ে প্রশাসন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে আসে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা। এ সময় সেখানে থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারেন তারা। এতে তাঁর কপালে এবং পিঠে জখম হয়।
তাকে মারপিটের পর চলে যাওয়ার সময় প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেরে গেটম্যান কাসেমকে মারপিট করে ছাত্রলীগ। এরপর তালা ভেঙে প্রশাসন ভবন ত্যাগ করেন তারা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মনির কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ভদ্রভাবে একটা ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে যাই। তিনি এসময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করেন এবং আমাকে অপমান করেন। তাই উত্তেজনাবশত ছেলেরা তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪