বগুড়া: স্কুলটির নাম ধুন্দার উচ্চ বিদ্যালয়। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার এ স্কুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে দেওয়া হয়েছে বাঁশ ও মাটি মিশ্রিত তালাই। কিন্তু ক’দিন পরপরই ভেঙ্গে পড়ছে সেগুলো। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬১ সালে ধুন্দার উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের চেষ্টায় দুই বছরের মাথায় এমপিওভুক্ত হয় বিদ্যালয়টি। সেসময় পূর্ব-পশ্চিম লম্বা করে ৪টি শ্রেণীকক্ষ ও ৪টি কমনরুম করা হয়। সেই থেকে মাটির এ ঘরগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার সংস্কার করা হয়নি।
আরও জানা যায়, বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫০০। তাদের বসার জন্য আসন সংকটের পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষেরও সংকট রয়েছে। নেই মেয়েদের জন্য আলাদা বাথরুম ও কমনরুম।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তোহা খাতুন ও অপূর্ব জানায়, কখন যে মাটির দেয়াল বা ছাদ ভেঙ্গে পড়ে, এই ভয়ে ক্লাস শেষ করে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যুগোপোযোগী ও শিক্ষার মানোন্নয়নে এখানকার অবকাঠামো খুবই অপ্রতুল। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় এর আধুনিকরণ জরুরী হয়ে পড়েছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার আলী স্কুলটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে এখানে কিছু কাজ করা হয়েছে। সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪ ২০১৪