ঢাকা: পর্যায়ক্রমে শিক্ষকদের সব সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শিক্ষা দিবস-২০১৪’ নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার ব্যাপারে উদার কিন্তু রাতারাতি সব কিছু করা সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে শিক্ষকদের সব সমস্যা সমাধান করা হবে। তাদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী কিছু স্কুলের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে এমনও স্কুল রয়েছে যেখানে ছাত্র সংখ্যা এক জন আর শিক্ষক রয়েছেন পাঁচ জন। স্কুল না চালিয়ে তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন।
মন্ত্রী বলেন, এই সব স্কুলে তালিকা করা হবে। কিন্তু কোনো শিক্ষকের চাকরি যাবে না। যে সব স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী বেশি আছে, সেই সব স্কুলে গিয়ে তাদের পড়াতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতি আন্দোলন আজ থেকে শুরু হয়নি। সেই ১৯৫৮ সালে আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম শিক্ষানীতির আন্দোলন শুরু হয়।
তিনি বলেন, সেই আমলে ছাত্র আন্দোলন-সংগ্রাম নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ছাত্র লীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন একত্রে গোপনে কমিটি করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা জন্য আন্দোলন করে। তখন থেকে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয়ে উঠি।
এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের আমরা কতটা মূল্যয়ন করতে পেরেছি, এ বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। দেশে শিক্ষা খাতে উন্নয়ন ঘটলেও শিক্ষকদের জন্য যা করা প্রয়োজন সেটা এখনও পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি।
এক ধরনের শিক্ষকদের নৈতিকতার অভাবের কারণে সব শিক্ষকদের মান-মর্যদা নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এ সব শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে হবে।
জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনের প্রধান সমন্ময়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রফেরস আক্তারুজ্জামান, শিক্ষা সমিতির সভাপতি প্রফেসর আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক আসাদুল হক, সাবেক সচিব ড. আব্দুল মহিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪