ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা পাঁচদিন অনশনের পর ৬ষ্ঠ দিনে অনশন ভেঙেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।
শিক্ষকরা আশ্বাস দেন, ভর্তিচ্চুদের এ ‘যৌক্তিক’ আন্দোলনের সাথে তারাও আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষক এ ব্যাপারে ভিসি বরবার একটি বিবৃতিও পাঠিয়েছেন বলেও অনশনরতদের জানান তারা।
সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা থেকে প্রায় আধাঘন্টা শিক্ষকরা অনশনরতদের সাথে কথা বলে তাদের বুঝিয়ে অনশন ভাঙান।
শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজিম উদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা লুৎফাসহ আরও কয়েকজন।
শিক্ষকরা ভর্তিচ্চুদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু টলছেনা তাই আন্দোলনের ধরনে পরিবর্তন করা দরকার। তোমাদের আন্দোলনে জন সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানো দরকার। তোমাদের যৌ্ক্তিক দাবির সাথে আমরাও রযেছি।
এমএম আকাশ বলেন, তোমরা তোমাদের সাধ্যমত করেছো। কিন্তু ‘সাধ্যাতিরিক্ত' কিছু করা উচিত হবেনা। সব সময় স্ট্রাইকে বিজয় অর্জন হয়না। তোমরা স্ট্রাইক বন্ধ করা মানেই তোমাদের আন্দোলন থেমে যাওয়া নয়। এ আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা কিভাবে আরও বাড়ানো যায় ব্যাপারে নজর দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মানবিকতা নিয়েও এসময় তিনি প্রশ্ন তুলেন।
কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থী সালমান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুরোধে আমরা অনশন ভেঙেছি। তারা লিখিতভাবে ভিসি স্যারকে বিবৃতি দিয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের আন্দোলনের সাথে থাকবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
পরবর্তী কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর ওইদিন বিকেল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেন অর্ধশতাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪