ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রশ্নপত্র ফাঁস

ছাপাখানার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪
ছাপাখানার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে ছবি: জি এম মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ছাপাখানায় কর্মরতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গেও গবেষণা করতে হবে।


 
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলা ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন আয়োজিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব সুপারিশ করেন।

সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় সরকারকেই নিতে হবে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ছাপাখানা থেকে শুরু সব পর্যায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে কোটি কোটি বই বিতরণ করা হয় নিশ্চয়ই নকল করে পাস করার জন্য নয়!

সাবেক বিমানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী উদ্বিগ্ন এটা বোঝাই যায়। তিনি বোধ হয় কিছুটা অসহায়ও। এজন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট করতে হবে কোথায় থেকে প্রশ্নপত্র ছাপানো হবে এবং ছাপাখানাকে জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, সরকারের দিক থেকে বিভিন্ন সময় কমিটমেন্ট লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানা যায় না। জড়িতদের বিচারের আওতায় আনলেই অন্যরা ভয় পাবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও ভাবতে হবে। প্রয়োজনে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের উপায় ও তা রোধে যা করা দরকার সে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সময় দৃশ্যমান শাস্তির দাবি জানান নৃতাত্ত্বিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসরিন সিরাজ।

সম্প্রতি ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারের জন্য পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়টিও আলোচনা করেন বক্তারা।

এ প্রসঙ্গে মীর নাসির বলেন, যেখানে ফুট ওভার ব্রিজ এবং জেব্রা ক্রসিং নেই সেখানেও জরিমানা আদায় করে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে বাধ্য করার পুলিশের এ কৌশল তামাশা ছাড়া কিছুই না।
 
ফারুক খান বলেন, এখন থেকেই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু না করলে আরও দেরি হয়ে যাবে। তাই পুলিশ যে কাজটা করছে তা সমর্থন করি। কেননা, শুরুটা তো করতে হবে।

বক্তারা বলেন, প্রথমে সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনা দরকার। পুরো নগরে রাস্তা পারাপারের সঠিক স্থাপনা নির্মাণ করেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ।
 
‘বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন আকবর হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।