ধুনট (বগুড়া): ৫ মাস আগে ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা খান বাহাদুর ছালেহা দাখিল মাদ্রাসা।
এরপর থেকে নানামুখী আশ্বাস পেলেও এখনো চালু করা যায়নি ওই মাদ্রাসার একাডেমিক কার্যক্রম।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় সূত্র ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২০০২ সালে ওই মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। এরপর জরাজীর্ণ অবকাঠামো ও নানা সংকটের মধ্যেও চলছিল মাদ্রাসার কার্যক্রম।
চলতি বছরের ২২ মে দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে মাদ্রাসার টিনের তৈরি একমাত্র ঘরটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আর্থিক সংকটের কারণে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ঝড়ে ভেঙে পড়ার ফলে মাদ্রাসায় শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এতে এই দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। ফলে শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়ে এই মাদ্রাসাটি।
জানতে চাইলে মাদ্রাসার বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করে ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বাংলানিউজকে জানান, গত ১২ বছরেও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।
তিনি জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের জন্য নতুন পাঠ্য বইয়ের চাহিদাপত্র এখনো জমা দেয়নি। তাই ওই মাদ্রাসার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৪