ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উদ্বিগ্ন মন্ত্রী ‘রহম’ চান

এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৭৯ হাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫
এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৭৯ হাজার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এবার মোট ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
 
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।


 
চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা হবে কি-না প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যথা সময়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বলতে পারবো। হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহোরের দাবি সাধারণ মানুষের মধ্যে উঠেছে জানিয়ে মন্ত্রী পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
 
“আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক, জাতীয় পার্টি হোক- সবার প্রতি আহ্বান ছেলে-মেয়েদের বিঘ্ন করবেন না। ”
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখনও তিনদিন সময় আছে, আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, আল্লাহ যেন তাদের (বিএনপি) মধ্যে রহম দেন। আমরা মনে করি, তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ চাপা পড়ে আছে, তা জাগ্রত হবে। আমাদের জাতি, দেশ, ভবিষ্যতকে দয়া করুন।
 
কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আল্লাহরওয়াস্তে জাতির দিকে তাকিয়ে, পরীক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে কর্মসূচি বন্ধ করেন। আমরা আশা করতে পারি, যারা দেশ চালাবেন, চালিয়েছেন, পরীক্ষা নিশ্চিন্তে গ্রহণের জন্য তারা বাধা তুলে নেবেন।
 
এই অবস্থায় পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে হবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনি (বিএনপি) বোম মারবেন কি-না, সে নিশ্চয়তা দেন।
 
ভবিষ্যতকে বাধাগ্রস্ত ও পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি হতে পারে না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার্থীরা যদি ধাক্কা খায়, মন-মানসিকতা ভেঙে পড়ে, উদ্বেগের মধ্যে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতেও এর প্রভাব পড়বে।
 
“আমরা খুবই উদ্বিগ্ন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় পরীক্ষা নিশ্চিন্তে অনুষ্ঠিত করা। অনিশ্চয়তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া কোনো সভ্যতার মধ্যে পড়ে না। ”
 
এবার এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ এবং ভোকেশনালে ১ লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৯ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ১৫ হাজার ৯২৭ জন।
 
বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ ২৭ হাজার ৮০৮টি প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
২০১৪ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন।
 
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১০ সাল থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
 
২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবছর হতে গণিত ও উচ্চতর গণিতে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে।
 
এবছর শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নামে নতুন একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে।
 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
 
আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১১-১৬ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
 
পরীক্ষাগ্রহণ উপলক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বোর্ডে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
 
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।