জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী অবশেষে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন।
প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইনের নাক ফাটানোর অভিযোগে সাত মাসের বহিষ্কার শেষে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন তারা।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সদস্য এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফয়সাল রাব্বী রিয়াদ, অনিক শোভন বালা সনেট, আমিনুর রহমান তকি, আরিফ আহমেদ মাফি, মো. সুমন। এদের মধ্যে ফয়সাল রাব্বী রিয়াদ ছাত্রদলকর্মী।
গত ১৯ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন চলাকালে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশ নিয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী ফয়সাল রাব্বী রিয়াদকে আটক করতে যান।
এ সময় সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইন ছাত্রদলকর্মী ফয়সাল রাব্বী রিয়াদ ও তার বন্ধু অনিক শোভন বালা সনেটকে ধরে বিভাগের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাদের বন্ধুরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সনেট সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইনকে আঘাত করলে তার নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। পরে রিয়াদ ও সনেটকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সে সময় এ ঘটনা তদন্তের জন্য উপউপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ মোতাবেক এ পাঁচ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন।
বহিষ্কৃতদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সময় সাত মাস অতিক্রম করেছে। তাই, তারা এখন থেকে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
এবি