ঢাকা: ৩৪তম বিসিএস এ শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নন-ক্যাডারদের নিয়োগ না দিয়ে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডাররা।
মঙ্গলবার দুপুরে (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন করেন ৩৪তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়া নন-ক্যাডাররা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা ও নিয়োগ দিতে প্রায় ৩ বছর সময় লেগেছে। এত সময় কোন বিসিএস পরীক্ষায় লাগেনি।
তারা বলেন, সাধারণ, প্রফেশনাল ও শিক্ষা ক্যাডারে ১ হাজার ৫৭৮ জনের নামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তাতে ১ হাজার ১৭৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু শূন্য পদের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক উত্তীর্ণ প্রার্থী থাকলেও ৪০৪টি পদে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রত্যেক বিসিএসে প্রকাশিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসে যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও নিয়োগ না দিয়ে পদ খালি রেখে উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডার তালিকায় (৬ হাজার ৫৮৪জন) রেখে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, ৩৪তম বিসিএস কোটা ও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে রাতে। সঠিকভাবে পূরণ করা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটা। বিশেষ একটি শ্রেণীকে সুবিধা দিতে পদ শূন্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ৩৩তম বিসিএস এ কৃতকার্য ৫৪ শতাংশ প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগে সুপারিশ করা হলেও ৩৪তম বিসিএস ২৫ শতাংশ সুপারিশ করা হয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফলাফল পুনঃ মূল্যায়ন ও নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগের দাবি জানান তারা।
সাধারণ শিক্ষা (প্রভাষক-ইতিহাস) উত্তীর্ণ একজন প্রার্থী জানান, ৩৩তম বিসিএস এ ৮টি শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩৯ জনকে। কিন্তু ৩৪তম বিসিএস’এ ২৪টি শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২০ জন।
দাবি আদায়ে শনিবার শহীদ মিনারে অনশনের ঘোষণা দেন ক্যাডার বঞ্চিতরা। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অপরদিকে, ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থী নাজমা আক্তার শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। ৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ব্যাপারে রুল জারি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫
আরইউ/আরআই