ঢাকা: দাবি আদায়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর শিক্ষামন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসায় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা বৈঠকে বসেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী একান্তে কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন কর্মকর্তা।
সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফিরে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
পদমর্যাদা এবং বেতন বৈষম্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো অনুমোদনের পর দাবির বিষয়টি উপেক্ষিত হওয়ায় কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
আগের সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত’ অধ্যাপকরা সচিবের সমান গ্রেড-১ স্কেলে বেতন পেতেন। জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা গ্রেড-২ এবং অধ্যাপকরা গ্রেড-৩ এ বেতন পেতেন।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে ‘সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক’ পদটি বিলুপ্ত করে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের সচিবদের সমান গ্রেড-১ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। অন্যদিকে জ্যেষ্ঠ সচিবদের জন্য নতুন একটি বিশেষ গ্রেড তৈরি করে সরকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, আমলারা নিজেদের জন্য বিশেষ গ্রেড তৈরি করলেও শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ফলে আমলাদের নিচের স্কেলে বেতন পাবেন অধ্যাপকরা।
ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর না হওয়া, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো গঠনে কমিশন ঘোষণা এবং শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব এখন পর্যন্ত না আসায় বৃহস্পতিবার সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।
‘যৌক্তিক’ দাবিসমূহ পূরণের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ঈদের পর লাগাতার কর্মবিরতির আল্টিমেটাম দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এমজেএফ