ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

এমসিকিউ ও সৃজনশীলের মধ্যে বিরতি থাকছে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৬
এমসিকিউ ও সৃজনশীলের মধ্যে বিরতি থাকছে না ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল প্রশ্নের অংশে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় বণ্টনে পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে সরকার।

 

তবে এমসিকিউ ও সৃজনশীল অংশের মধ্যে এখন থেকে আর কোনো বিরতি না রেখে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে উত্তরপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৭ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ’র ওএমআর শিট ও সৃজনশীলের অলিখিত উত্তরপত্র পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
আর একশো নম্বরের সৃজনশীল অংশে ১১টির মধ্যে ৭টি এবং ৭৫ নম্বরের পরীক্ষায় ৮টির মধ্যে ৫টির উত্তর দিতে হবে। আগে যথাক্রমে ৯টির মধ্যে ৬টি ও ৬টির মধ্যে ৪টির উত্তর করার সিদ্ধান্ত ছিলো।
 
রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সালে এ নিয়ম কার্যকর থাকবে।
বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় একটি প্রশ্নপত্রকে দুই ভাগে ভাগ করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়। একটি অংশে সৃজনশীল আরেকটি অংশে বহুনির্বাচনী বা এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে।
 
এতোদিন ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশের নম্বর ছিলো ৬০ এবং বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর ছিলো ৪০। বহুনির্বাচনীর জন্য সময় ছিলো ৪০ মিনিট।
 
পরীক্ষার হলে বাইরে থেকে এমসিকিউ প্রশ্ন সমাধান করে পাঠানো এবং অব্যবস্থাপনার কারণে সরকার গতবছর শিক্ষাবিদদের মত নিয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সংখ্যা ও সময় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
 
এই প্রেক্ষাপটে বহুনির্বাচনী অংশের ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল অংশে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ, একটি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে সৃজনশীল অংশের নম্বর ৭০ করা হয়। আর এমসিকিউ অংশের নম্বর ৩০।
 
সৃজনশীল অংশে আগে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হলেও সরকারের সিদ্ধান্তে ২০১৭ সাল থেকে দিতে হবে সাতটি। ছয়টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আগে সময় ছিলো ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। আর এখন ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের মধ্যে সাতটির উত্তর দিতে হবে। একটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মাত্র ১০ মিনিটে দেওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বোর্ডগুলো এই নম্বর পুনর্বণ্টন করে চিঠি পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এর বিরোধিতা করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৭ সাল থেকে এমসিকিউ ও সৃজনশীল অংশের মধ্যে কোনো বিরতি না রেখে দুই অংশের উত্তরপত্র পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে বিতরণ করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

 তবে টেস্ট পরীক্ষাগুলো পূর্বের নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৫ মিনিট আগে উত্তরপত্র বিতরণ করা হলে বাড়তি সময়ে শিক্ষার্থীরা খাতায় কোড পূরণের কাজে পরীক্ষার বরাদ্দ সময় থেকে কোনো সময় খরচ হবে না। অর্থাৎ, পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময়ের সবটুকুই পাবে শিক্ষার্থীরা।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের ৪০টি এমসিকিউ প্রশ্নে ৪০ মিনিট সময় থাকলেও ২০১৭ সালের পরীক্ষায় ৩০টির জন্য সময় ৩০ মিনিট। আগে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ৯টি সৃজনশীলের মধ্যে ৬টির উত্তর করতে হলেও এখন ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে ১১টির উত্তর করতে হবে।
 
পাঠ্যপুস্তক, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনে উদ্যোগ নেওয়ায় জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল।  
 আর সৃজনশীল অংশে নম্বর কমানোর ক্ষেত্রে এখন আর আমাদের মধ্যে দ্বিমত থাকছে না বলে জানান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।
 
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন।
 
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, মাউশি, ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬ আপ: ১৪৪২
এমআইএইচ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।