ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

স্বল্প সময়ে পরীক্ষা, পড়ানোর পদ্ধতিও হবে সহজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৬
স্বল্প সময়ে পরীক্ষা, পড়ানোর পদ্ধতিও হবে সহজ

ঢাকা: প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঠ্যপুস্তক ও পড়ানোর পদ্ধতি সহজ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।



রোববার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা কারিকুলাম আরও যুগোপযোগী করতে চাই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে যদি কোনো অসঙ্গতি থেকে থাকে তবে সেগুলো সমন্বয় করেই কারিকুলাম তৈরি করা হবে। যার ভিত্তিতে একটা সহজ, সুন্দর ও চমৎকার পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে। শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করছেন। এর ফলে ভবিষ্যতে কারিকুলাম আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সক্ষম হবো।

‘আমরা চাই পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করতে, স্বল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিতে এবং ছেলে-মেয়েরা যাতে সহজে পরীক্ষা দিতে পারে, একইসঙ্গে তাদের মূল্যায়ন করা যায়। যাতে ছেলে-মেয়েরা চাপ অনুভব না করে। শিক্ষকদের পরমর্শে অনেক কাজ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে পরিবর্তন করতে পারবো’।

শিক্ষাবিদদের পরামর্শে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, বিশ্বমানে পৌঁছাতে হলে সৃজনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। অনেক বাধা অতিক্রম কর‍ার পরে সবাই মেনে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন আমরা সব মিলিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতির বড় ধরনের সংস্কার করবো, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় যেনো চাপ বোধ না করে, সহজে প্রস্তুতি নিতে পারে। সেজন্য পাঠ্যপুস্তক, পড়ালেখা ও পরীক্ষাও সেই রকম হবে। সেটা অনেক সহজ ও সাবলীলভাবে ছেলেমেয়েদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে দাঁড়াবে। আশা করি সেটা সহজে সবাই গ্রহণ করবেন।

সভায় অংশ নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বড় ধরনের সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে কী ধরনের সমন্বয় করবো- এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নতুন করে কারিকুলামের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রশ্ন ভাণ্ডার করা যায় কিনা- শিক্ষকরা সৃজনশীল প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হিমশিম খেয়ে যান।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী যে পরিবর্তন সেটা হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু করলে হবে না। সমন্বয় করে করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালসহ বেশ ক’জন শিক্ষাবিদ সভায় অংশ নেন।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।