মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে।
আহত শিক্ষার্থী জয় বাংলানিউজকে বলেন, সকাল নয়টা থেকে আউটডোর পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুরে সম্রাট বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করতে চাইলে আমি তাকে বলি এখানে প্রবেশ অধিকার সংরক্ষিত। কারণ জবি বোটানি বিভাগ আর চারুকলা বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গার্ডেনে বিনা অনুমতিতে বাইরের কোনো বিভাগ বা বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সেজন্য আমি সম্রাটকে নিষেধ করি। পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ছাত্রীদের নানাভাবে টিজিং করেন। তাকে আবার নিষেধ করলে তিনি তার কয়েকজন সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে আমদের ওপর হামলা করেন। এতে ১৪জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ব্যাপারে চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বজলুর রশিদ খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জবি প্রশাসনকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি, ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটানার তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, সম্রাট ছাত্রলীগের কেউ না। আমি তাকে চিনি না। শিক্ষার্থীদের ওপর যেই হামলা করুক, আমরা তার শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারী সম্রাটের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
ডিআর/এএটি/এএ