ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সম্রাটের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
জবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সম্রাটের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি জবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সম্রাটের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি-ছবি: বাংলানিউজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী শফিকুল গণি সম্রাটের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের পাশে এ মানববন্ধন করেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম।

মানববন্ধনে সম্রাট ছাড়াও তার সহযোগীদেরও স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করা হয়। মানববন্ধনকারীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

তারা দাবি করেন, বুধবারও সম্রাটের সঙ্গে থাকা রাহিদ, অভিসহ বেশ কয়েকজন তাদের কিছু ছাত্রীকে টিজ করেছেন এবং ক্যাম্পাসের বাইরে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

এফ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় এ বিষয়গুলোতে আন্দোলন করেছি। সম্রাটকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আমিও শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।

তবে নামপ্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আমাদের সঙ্গে প্রকাশ্য আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করলেও তারই কিছু লোক ফোনে বা সরাসরি বিষয়টি ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন এই বলে যে, একটি ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।

অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ থেকে যা পাওয়ার তা পেয়েছি। এখন আমি এদের আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছি। যেখানে ছাত্রলীগ সভাপতি আছে সেখানে অন্যদের কোনো কথা আসতে পারে না।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, আজও ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় সম্রাটের সঙ্গে থাকা রাহিদ, অভিসহ কয়েকজন ছাত্র আমাকে টিজ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা চারুকলা বিভাগ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি মর্মে একটি দরখাস্ত প্রক্টর অফিসে জমা দিয়েছি।

এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মেহরাব আজাদ বলেন, আমরা এর আগেও এরকম ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ দেখেছি, কিন্তু তাদের ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। আমরা চাই লোকপ্রশাসন বিভাগের আরজ আলীর মতো সম্রাটকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
ডিআর/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।