তিনি বলেন, সত্যিকারের নিয়মিত ছাত্রদের হাতেই ছাত্র রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ দিতে হবে। আর তাই ডাকসু নির্বাচন ইজ মাস্ট।
শনিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে ঢাবির ৫০তম সমাবর্তনে বক্তব্য রাখার সময় এ সব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। আর সেই নেতৃত্ব তৈরি হবে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই। আমি নিজেও ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি লাভ করি। কিন্তু আমাদের সময়ের রাজনীতি আর আজকের ছাত্র রাজনীতির মধ্যে অনেক তফাৎ।
তিনি বলেন, ষাটের দশকে আমরা যারা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, লক্ষ্য ছিল দেশের কল্যাণ করা। এক্ষেত্রে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থের স্থান ছিল না। ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু, ছাত্র রাজনীতির বর্তমান হালচাল দেখলে মনে হয় এখানে আদর্শের চেয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থের প্রাধান্য বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ-ছাত্ররাই রাজনীতির নেতৃত্ব দেয়াসহ নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর ফলে ছাত্র রাজনীতির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
নিজের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমাদের সময়ে ভালো রেজাল্টকারীদের কৌশলে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতাম। নির্বাচনে আমাদের ভোট দিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতাম। তারা আমাদের ভালোবাসতো। এখন কি হচ্ছে বুঝি না! ছাত্রনেতাদের বয়স যদি ৪৫/৫০ বছর হয় তাহলে তারা কিভাবে ২১ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এসেকেবি/এসআরএস/এসএইচ