সেইসঙ্গে ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এবং একজন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৩ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ আসকারি বাংলানিউজকে জানান, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত এফ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁসের কারণে 'এফ' ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মো. নুরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং পরীক্ষা কমিটিতে থাকা অপর দুই শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান (গণিত বিভাগ) ও মো. আলতাফ হোসেন রাসেলকে (পরিসংখ্যান বিভাগ) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের 'এফ' ইউনিটে ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মনোজিৎ মণ্ডলকে আজীবন বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আলাউদ্দিন আলাল ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান লাল্টু নামের স্থানীয় এক ডাক্তার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচালিত আইন অনুযারি মামলা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়।
এদিকে, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সভাপতির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অন্য যে কোন একজন সিনিয়র শিক্ষককে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। এর আগে বিভাগের সকল শিক্ষক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ পাঁচ অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রকাশ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ, ২০১৭
আরএ