শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের আব্দুর রাজ্জাক মিলানায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ‘এফ’ ইউনিটের সব শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একই বিভাগের ছাত্র শুভম গোস্বামী ধ্রুব।
লিখিত বক্তব্যে ধ্রুব বলেন, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা দেই এবং আমাদের রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। আমরা ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হই। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখে আমাদের ভাইভা নেওয়া হয় এবং ২৯ তারিখের মধ্যে আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।
‘এফ’ ইউনিটের ভর্তির আসন ছিল ১০০টি, যার মধ্যে প্রথম ১০০ জনের মেরিট লিস্টের ৩৬ জন ভর্তি হয় নাই। ওয়েটিং থেকে পুনরায় ভাইভা নিয়ে বাকী আসনগুলো পূর্ণ করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশন নেওয়া হয়। আমরা রুটিন মোতাবেক প্রতিদিন ক্লাসে আসতাম, আমাদের রোল ডাকা হতো। স্যাররা ক্লাসে আমাদের বই কিনতে বলেছিলেন, স্যারদের কথামত আমরা অনেক বইও কিনেছি। আমাদের ক্লাস টেস্টের তারিখ দেওয়া হয়েছে, আমরা আমাদের অনার্সের একাডেমিক পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ‘এফ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে ‘এফ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা পেলে ৬ মার্চ হঠাৎ করেই সিন্ডিকেট বসে এবং আমাদের ১০০ জনের ভর্তি বাতিল করে দেয়।
এদিকে আমাদের নির্দোষ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করেই পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ এক বা দুই বছর কঠোর পরিশ্রম করেও যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া অনেক কঠিন, সেখানে মাত্র সাতদিনে সেইটা অসম্ভব। এরই প্রেক্ষিতে ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের আইনানুগ ব্যবস্থা ও নির্দোষদের ভর্তি বহাল রাখার দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
আরবি/