সোমবার (১৩ ই মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে এর মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বইটির লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবি অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান, ঢাবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, তরুণ প্রজন্মের কেউ বঙ্গবন্ধুকে দেখে নাই। বঙ্গবন্ধুকে কেউ দেখলে তাকে ভুলতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর কাছে গেলে তার কাছ থেকে কেউ ফিরে আসতে চায় না । দুঃখ লাগে যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সমালোচনা হয়। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে জাতির পিতাকে নিয়ে সমালোচনা হয় না। আর শুধু বই লিখে বঙ্গবন্ধুকে বড় করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে আছে। বই লিখে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো যায়, ভালবাসা যায়। বঙ্গবন্ধু জীবনের সবকিছু দিয়ে তিনি মানুষকে ভালোবেসেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাহসী, একাগ্র আর লক্ষ্যের প্রতি অবিচল। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ছোটো অংশ দিয়েও গ্রন্থ রচনা করা যায়।
আগামী নির্বাচনে একাত্তরের ঘাতকদের বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিরপেক্ষ থাকার কোন সুযোগ নেই। হয় সত্যের পক্ষে না হয় অন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে। এই দুইটির মাঝখানে থাকার কোন সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে একাত্তরের ঘাতকদের আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে দিতে পারি না। ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের স্বাধীনতা দিয়ে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ দিয়েছেন। দিয়েছেন শিক্ষকদের মর্যাদা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার আদর্শকে বন্ধ করা যাবে না। তিনি অবিনশ্বর।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এসকেবি/আরআই