হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে বুধবার (১৫ মার্চ) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।
পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের পূর্ব ডেঙ্গামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সহকারী শিক্ষিকা মিসফা সুলতানাকে (২৫) মঙ্গলবার খন্তা দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় এক বখাটে।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হামলার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীও অবগত বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
এরইমধ্যে হামলাকারী আহসান উল্লাহ টুটুলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। টুটল একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আহত শিক্ষিকা একই উপজেলার নাইখাইন গ্রামের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর মোহাম্মদের একমাত্র মেয়ে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ওই শিক্ষিকার সুচিকিৎসার জন্য বিভাগীয় এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে বাংলানিউজকে জানান নজরুল ইসলাম।
এছাড়া তিনি নিজেও হাসপাতাল পরিচালক ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে সুচিকিৎসা ও হামলাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরইমধ্যে হাসপাতালে গিয়ে ওই শিক্ষিকাকে দেখে এসেছেন। ডিসিকে আমি বলেছি, আইনগতভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালে ওই শিক্ষিকাকে দেখে আসতে বলেছি।
**ক্লাসে ঢুকে খন্তা দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষিকার হাত-পা ভাঙল বখাটে
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস