বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর কাছে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন ‘এফ’ ইউনিট পুনঃভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
এদিকে বাতিল হওয়া প্রথমবারের ভর্তি পরীক্ষায় যারা প্রথম থেকে ১০ম স্থান অধিকার করেন তাদের কেউই মেধা তালিকায় নেই প্রকাশিত এ ফলাফলে।
প্রকাশিত ফালাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গতবারের মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা শিক্ষার্থী এবার হয়েছে ৪১৫তম। এছাড়া প্রথম পরীক্ষায় এমসিকিউ টেস্টে ৬২ নম্বর পেলেও এবার এ শিক্ষার্থী পেয়েছেন ৩৫ নম্বর।
একইভাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শিক্ষার্থী ৪৭৮তম এবং তৃতীয় স্থানে থাকা শিক্ষার্থী ৫৮৩তম হয়েছেন। এছাড়া বাতিল হওয়া পরীক্ষার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকারীসহ প্রথম দশজনের পাঁচজনই ফেল করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় মোট এক হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৬৭৮ জন পাশ করেন। তাদের মধ্য থেকে এ ইউনিটের দুই বিভাগের (গণিত ও পরিসংখ্যান) ১০০ আসনের বিপরীতে প্রথম ১০০ জনকে মেধা তালিকায় রাখা হয়েছে। এছাড়া ১০১-২০০ পর্যন্ত পরবর্তী ১০০ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে। এদিক থেকে প্রথম দশজনের কেউই মেধা তালিকায় নেই বলে জানা গেছে।
এছাড়া প্রথম পরীক্ষায় ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মেধা তালিকায় স্থান পায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।
ড. আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, প্রকাশিত এ ফলাফলে আবারও প্রমাণিত হলো যে, আগের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এছাড়া আজকের এ পুনঃভর্তি পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে ইবিতে স্বচ্ছতা, জবাব দিহিতা এবং মেধা প্রতিষ্ঠার সুযোগ আরও প্রতিষ্ঠিত হলো।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইট www.iu.ac.bd-এ পাওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় ২৩৩তম সিন্ডিকেট সভায় ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওই ইউনিটের পুনঃভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
আরবি/