শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
হল সূত্র জানায়, হলের বর্ধিত ভবনের ৩০ নম্বর কক্ষটি ৫ জনের নামে বরাদ্দ।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে তিনি রুমে উঠিয়ে দেন। বাকিরা পরবর্তীতে উঠবে বলে জানান। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতে হলে বিক্ষোভ করেন।
মূল ভবনের ২৩ নম্বর কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থীদের বের করে দেন ছাত্রলীগের এই নেত্রী। এই কক্ষের ছাত্রী সাইমুম জান্নাত প্রভা বাংলানিউজকে বলেন, আমার জিনিসপত্র ছাত্রলীগের মেয়েরা এসে ফেলে দেয়। প্রতিদিন তারা এসে রুম ছেড়ে দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এদিকে রুম নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় হল প্রশাসন রুমটি তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
এ ঘটনার সূত্র ধরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি লিপি আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম এক শিক্ষার্থীকে শুক্রবার মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল ও ইডেনের মেয়েদের নিয়ে হল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুপুরে ৩ দফা দাবি নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ও হাউজ টিউটরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, যে রুমগুলো ছাত্রলীগ দখল করেছে সেগুলো দখলমুক্ত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দিতে হবে, প্রতিমাসে হলের বিষয় নিয়ে সাধারণ সভা ও সিনিয়রিটি ভিত্তিতে রুম বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি লিপি আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিক্ষোভের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফোনে বাংলানিউজকে তিনি জানান, হলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাজমা শাহী বাংলানিউজকে বলেন, গত রাতে একটি রুমে ঝামেলা হয়েছে। সেটা আমরা সমাধান করেছি। আজকে আরেকটা রুমে ঝামেলা হয়েছে। আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। বহিরাগতরা আসতে চাইলে আমরা হলের গেট বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনা মিথ্যা।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। হল প্রশাসন ও সাধারণ ছাত্রীরা যেভাবে চাইবে সেভাবে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হয় এমন কিছু করবে না ঢাবি ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এসকেবি/আরআর/আরআই