সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঐতিহাসিক মার্চ ১৯৭১ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম ক্ষুদ্রঋণের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে। তাই সম্পদের অপব্যবহার ও অপচয় রোধ করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সম্পদ উদ্বৃত্ত রাখতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করতেন বঙ্গবন্ধু। সহকর্মীদের প্রতি তার সহানুভূতি ছিল প্রগাঢ়। দেশের জনগণ কি চায়, কোন সময়ে কি করতে হবে, এসব বিষয়ে তিনি সর্বদা সজাগ ছিলেন। মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর মানবতাবোধ ছিল প্রবল, যা সব সময় তার চিন্তায়, চেতনায় ও কর্মে প্রকাশ পেয়েছে’।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ গৌরবময় অধ্যায়। আর এ গৌরবময় অধ্যায়ের একটি স্তম্ভ হচ্ছে, ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মার্চ মাস’।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
ডিআর/আরআইএস/এএসআর