মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টায় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীব আহমেদের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী এ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
তালা ঝোলানোর কারণ জানতে চাইলে রাজীব আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘হলে ছাত্রদের কোনো সমস্যা হলেও তিনি আসেন না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, প্রতি সেমিস্টার ফাইনালের আগে হলের পাওনা টাকা পরিশোধ করে হল থেকে ‘না দাবি পত্র’ নিতে হয়। কিন্তু প্রভোস্ট হলে না আসায় তাদের প্রভোস্টের ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ‘না দাবি পত্র’ আনতে হয়। মাঝে মাঝে ডিপার্টমেন্টে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় না। এতে বেশ সময় নষ্ট হয় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
হলের শিক্ষার্থী নাজমুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছর হলের আবাসিক চার্জ বাড়ানো হলেও আমাদের রুমে লাইট, সকেট নষ্ট হলে নিজেদেরকেই ঠিক করতে হয়। পানির সংকট, নোংরা বাথরুম তো আছেই’।
হলে প্রভোস্ট নিয়মিত তদারকি করলে এসব সমস্যা থাকতো না বলেও মনে করেন এ শিক্ষার্থী।
হল সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে বিশেষ খাবার বিতরণের সময় এসেছিলেন প্রভোস্ট শহীদুল ইসলাম।
প্রভোস্ট ড. শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমার হলে যাওয়ার সুযোগ হয় না। তবে সহকারী প্রভোস্টরা সার্বক্ষণিক হলে থাকেন। আমি তাদের মাধ্যমে হলে তদারকি করি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
জিপি/এএসআর