ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

সমাবর্তনের আক্ষেপ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
সমাবর্তনের আক্ষেপ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার একযুগেও হয়নি কোনো সমাবর্তন।

২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয় পুরান ঢাকায় অবস্থিত দেশের প্রাচীনতম এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার পর পার হয়ে গেছে প্রায় ১২টি বছর।

স্নাতকোত্তর শেষ করে বের হয়ে গেছেন প্রায় সব বিভাগের অন্তত পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। কোনো কোনো বিভাগের সপ্তম ব্যাচ পর্যন্ত শেষ করে ফেলেছে শিক্ষাজীবন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করেছেন, সেই ২০০৩-০৪ ও ২০০৪-০৫ সেশনের প্রায় ১৯ হাজার ২শ’ ৭১ শিক্ষার্থীসহ সমাবর্তন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৯শ’ ৩০ জন। যদিও ২০০৩-০৪ ও ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থীদেরকে ইতোমধ্যেই সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিভাগে সেমিস্টার সিস্টেম চালু থাকায় সেশনজট নেই। ফলে প্রতি বছরই বাড়ছে সমাবর্তন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। একসঙ্গে এতো বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর সমাবর্তন করা অনেক কঠিন কাজ, যা হয়তো ভবিষ্যতে নাও সম্ভব হতে পারে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প স্থান কেরানীগঞ্জের জমি সমতল করতেও কেটে যেতে পারে ২-৩ বছর।

ফলে জবি’র সমাবর্তন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার প্রহর ক্রমশ বাড়ছে।

জবি’র সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মতে, প্রশাসন বার বার সমাবর্তন আয়োজনে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা  এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো বার বার সামনে এনেছে। সেই শঙ্কা আসলে অমূলক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী খান শিহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ ক্যাম্পাসেই সমাবর্তন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা আর সদিচ্ছাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

সাবেক শিক্ষার্থী রুম্মন হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এমন একটি ঐতিহ্যবাহী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত একটিও সমাবর্তন হয়নি, এটি মেনে নেওয়া কষ্টকর। সমাবর্তন না করার পেছনে আসলে সীমাবদ্ধতা নাকি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দায়ী, সে বিষয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা যারা সাবেক শিক্ষার্থী, তারা একটি সম্মানজনক বিদায় আশা করতেই পারি। প্রশাসনেরও সেটি অবশ্যই দেওয়া উচিত’।

জবি’র উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ক্যাম্পাসের বাইরে হয়েছে, এমন নজির নেই।   আমাদের কেরানীগঞ্জের জমি এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে বলা যায়, খুব দ্রুত আমরা সেখানে সমাবর্তনের আয়োজন করতে পারবো’।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
ডিআর/এসজে/জিপি/এএসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।