এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জাবি প্রশাসনকে বার বার অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাননি তারা।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে ১৭ বছর আগে ৮ জন চিকিৎসক ছিল।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারটি ৪২ বছরের পুরানো হলেও এখানে নেই রোগ নির্ণয়ের কোন যন্ত্রাংশ। ফলে গুরুতর কোন রোগী আসলে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, ১ম বর্ষের ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের থেকে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট বাবদ ৫০ টাকা করে নেয়া হয়। দীর্ঘদিন এই টাকা জমা হয়ে তহবিলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হয়। যা দিয়ে কিছুদিন আগে দু’টি রোগ নির্ণয় যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়। কিন্তু সেগুলো একটি কম্পিউটার আর প্রিন্টারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
একটি কম্পিউটারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বার বার তাগিদ দেয়া হলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান এক মেডিক্যাল অফিসার।
এ জন্য যে কোন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া ভাল মানের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে গুরুতর রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাইয়ে রেফার্ড করতে হচ্ছে বলেও জানান ওই মেডিক্যাল অফিসার।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাধারণ ঠাণ্ডা কাশি বাদে একটু জ্বর হলেই রেফার্ড করা হয় সাভার এনাম মেডিক্যালে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ থাকলে হয়তো সাভারে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এত টাকা ব্যয় হতো না শিক্ষার্থীদের। কম খরচেই তারা এখান থেকে ভাল চিকিৎসা নিতে পারতেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-মেডিক্যাল অফিসার ডা. শামছুর রহমান বলেন, ডাক্তার, নার্স ও প্যাথলজিস্টের অপ্রতুলতার কারণে আমরা অনেক সময় চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারি না। তরে রাতে ও ছুটির দিনগুলোতে খণ্ডকালীন ডাক্তার রাখা হয়েছে কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেনকে একাধিবার ফোন করা হলেও তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
আরআই