বুধবার (০৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের বদলির কথা জানানো হয়।
এনসিটিবি’র সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইং) ড. মো. আব্দুল মান্নানকে ঝিনাইদহের সরকারি কে. সি. কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, এনসিটিবি সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল সরকারকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, এনসিটিবি বিশেষজ্ঞ মো. মোসলে উদ্দিন সরকারকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক এবং এনসিটিবি বিশেষজ্ঞ মো. হান্নান মিঞাকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলার সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তারা ৬ এপ্রিলের মধ্যে অবমুক্ত হবেন, অন্যথায় একই তারিখের অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
এরআগে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) এনসিটিব’র দুই কর্মকর্তাকে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে এনসিটিবি’র সচিব ইমরুল হাসানকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিজামুল করিমকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। বইয়ের ভুলের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ইমরুল হাসানকে অবিলম্বে বদলির সুপারিশ করেছিল।
এছাড়া এনসিটিবি’র গবেষণা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানাকে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বদলি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক।
নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ে ভুলের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কয়েক দফা সময় বৃদ্ধির পর দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
এই তদন্ত কমিটি বইয়ের ভুলের জন্য সাত কর্মকর্তাকে দায়ী করে শাস্তির সুপারিশ করেছিল। বইয়ের ভুলের জন্য দায়ী এনসিটিবি’র প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে এরআগে ওএসডি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭/আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস