বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সিনেট অধিবেশন শুরু হবে।
এতে বাজেট উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে এ বছর বাজেটের আকার তুলনামূলক কমেছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছর তা ছিল ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৩১৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এবারের বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। এর মধ্যে ইউজিসি দেবে ৬০৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ইউজিসির নিয়মিত বাজেটের বাইরে বিশেষ বরাদ্দ (গবেষণা মঞ্জুরি ও বিশেষ অনুদান) হিসেবে ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশনসহ বিভিন্ন খাতে। এ বছর ৪১৭ কোটি ৫৯ লাখ ২২ হাজার টাকা বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে শিক্ষকদের বেতনের জন্য ১৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, কর্মকর্তাদের জন্য ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের জন্য ৬২ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
অর্থাৎ তাদের বেতনের জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ৩৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ভাতাদি (বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, শ্রান্তিবিনোদন, বই ইত্যাদি) বাবদ মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭২ কোটি ১২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৭৭ লাখ ৫ হাজার টাকা। এ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- লাইব্রেরির পুস্তকাদি ক্রয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা, কেমিক্যালস ও ইকুইপম্যান্টস, শিক্ষাসফর, সেমিনার ও কনফারেন্স, পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয়, গবেষণা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা (যেমন ইন্টারনেট, শিক্ষা উপকরণ, বৃত্তি, বিভাগীয় খেলাধুলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া, ছাত্রকল্যাণ ইত্যাদি) এবং ছাত্র পরিবহন সুবিধা।
৪৭ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে সাধারণ ও বিবিধ কার্যক্রম পরিচালনায়। পুরনো যন্ত্রপাতি ও আসবাব মেরামতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ মাত্র ১৪ কোটি টাকা, যা বাজেটের মাত্র ২ শতাংশ। উন্নয়ন বাজেট বিবেচনায় নিলে গবেষণা খাতের বরাদ্দের হার আরো নিচে গিয়ে ঠেকবে। তাই গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয় মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বাজেট আগামীকাল পাশ হবে। এবারের বাজেটে তুলনামূলকভাবে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আমরা আগামীতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এসকেবি/আরআই