ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবিতে বাংলাদেশ-ভারত রোটারি ক্লাবের যৌথ সেমিনার 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
খুবিতে বাংলাদেশ-ভারত রোটারি ক্লাবের যৌথ সেমিনার  সেমিনারে বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ‘থ্যালাসেমিয়া এওয়ারনেস অ্যান্ড প্রিভেনশন’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৬টায় খুবির আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে রোটারি ক্লাব অব গ্রান্ড খুলনা এবং রোটারি ক্লাব অব কলকাতা সান সিটির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।  

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

 

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ একটি পরিবারের বিপর্যয় ডেকে আনে। অথচ এই রোগ প্রতিরোধযোগ্য। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে পারলে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আয়োজিত এই সেমিনার উন্মুক্ত থাকলে তাতে আরও বহু শ্রেণির মানুষ উপকৃত হতো।  

তিনি আরও বলেন, ভারতের রোটারি ক্লাব অব কলকাতা সান সিটি এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের রোটারি ক্লাবের সঙ্গে যে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। দুই দেশের সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ ও গভীর।

উপাচার্য বলেন, সেই বন্ধুত্ব, সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই, সমস্যার সমাধান করতে চাই।  

রোটারি ক্লাব অব গ্রান্ড খুলনার সভাপতি রোটা. মুক্তি দাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রোটা. পিপি ডা. সৈয়দ আবু সাঈদ, গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রোটা. এস এম হাবিব এবং পশ্চিমবঙ্গের রোটারি ক্লাব অব কলকাতা সান সিটির সভাপতি শম্পা ঘোষ।  

অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরআই ডিস্ট্রিক্ট ৩২৯১-এর থ্যালাসেমিয়া কমিটির চেয়ারম্যান রোটা. ডা. রামেন্দু হোমচৌধুরী।  

মা ও শিশু বিষয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন পশ্চিমবঙ্গের রোটা. ডা. বন্দনা হোমচৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন খুবির ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক রোটা. মো. সামিউল হক।
অনুষ্ঠানে খুবি উপাচার্যকে পশ্চিমবঙ্গের রোটারি ক্লাব অব কলকাতা সান সিটির পক্ষ থেকে উত্তরীয় এবং ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। উপাচার্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরআই ডিস্ট্রিক্ট ৩২৯১-এর থ্যালাসেমিয়া কমিটির চেয়ারম্যানকে ক্রেস্ট উপহার দেন।

মূল নিবন্ধে রোটা. ডা. রামেন্দু হোমচৌধুরী বলেন, থ্যালাসেমিয়া কেবল বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের রোগ নয়। এটা সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে জিনগতভাবে লুকিয়ে রয়েছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ এই রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী যদি উভয়ই এ রোগের বাহক না হন তবে এ রোগে শিশু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই বিয়ের আগেই অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করানো উচিৎ। কঠোরভাবে এই একটি ব্যবস্থা অনুসরণ করা গেলে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ সম্ভব।  

তিনি ভবিষ্যতে পোলিওর মতো থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে রোটারিয়ানদের ভূমিকা পালন এবং সমাজের সব স্তরের মানুষের ভূমিকা পালনে আহবান জানান।  

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের রোটারি ক্লাব অব কলকাতা সান সিটির আরও কয়েকজন রোটারিয়ান এবং খুলনার বিভিন্ন রোটারি ক্লাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়:  ২০৩৫ ঘণ্টা,  জুন ১৭, ২০১৭
এমআরএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।