আপনজনের সান্নিধ্য পেতে ক্যাম্পাস ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় ঈদ উদযাপনে সীমান্ত পেরিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে যাচ্ছেন ঢাবিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
ঢাবিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসন স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে বর্তমানে ১২৮ জন বিদেশি ছাত্র রয়েছে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে অধ্যয়নরত ছাত্রদের সংখ্যা ১২ জন, বাকি ১১৬ জন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত।
উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশে নেপাল থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জামান ইসতিয়াক মিকরানি। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন এ তরুণ। অন্য শিক্ষার্থীর মতো এবারের ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশ ছাড়ছেন এ শিক্ষার্থী। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঈদ মুসলমানদের প্রাণের উৎসব। তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে থাকতে পারাটাই অনেক আনন্দের। সেজন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফেরা। ’
নেপালে কীভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন হয় প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই ঈদগাহে নামাজ আদায় করে। নেপালে মুসলিমদের সংখ্যা কম। বাংলাদেশে যেভাবে ঈদ উদযাপিত হয় অনেকটা সেভাবেই নেপালে হয়। তবে ঈদের খাবারে ভিন্নতা রয়েছে।
ঢাবির বাংলা বিভাগে নেপালি শিক্ষার্থী সাজ্জাদ শাফি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও বাইরের খাবারের দোকান বন্ধ থাকে। সবকিছুতে একটা শূন্যতা নেমে আসে। অন্যবারের চেয়ে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি বেশি দিন থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ফিরে গেছেন যার যার দেশে।
ঈদুল আজহায় অনেকে বাংলাদেশে ঈদ করেন অনেকে ঈদের দিন দূতাবাসে চলে যান। সেখানে নিজ দেশের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সেভাবে আয়োজন থাকে না। ছাত্ররা বাংলাদেশে অবস্থান করা তাদের আত্মীয় বাসায় এবং দূতাবাসে চলে যায়। তবে এবার থেকে যারা হলে থাকবে তাদের জন্য হল প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
আরআইএস/