এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে চীন ও জাপানের শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এর পরে পর্যায়ক্রমে ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ফিলিপাইনের শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তির আওতায় আনা হবে।
বৃত্তির আওতায় প্রতি শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে মাসে ৭শ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৫৬ হাজার টাকা। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে এ বৃত্তি দেয়া হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ দুটি দেশের প্রচুর শিক্ষার্থী নিজ খরচে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন। তারা উন্নত দেশের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসেন বিশেষ আগ্রহ ও জ্ঞান অর্জন করার জন্য। তাছাড়া আমাদের দেশের প্রচুর শিক্ষার্থীও এ দুটি দেশে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যায়।
কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনই এ বৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু সমন্বয় করবে। তাছাড়া কে বাংলাদেশে পড়তে আসছে এবং তার মোটিভ কী তাও নজরদারি করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস বৃত্তির জন্য আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে রিপোর্ট পাঠাবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজ খরচে পড়তে আসেন। বিশেষ করে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার শিক্ষার্থী বেশি আসেন। তারা বিভিন্নভাবে প্রতারিতও হন।
এটিকে বন্ধ করতে বাংলাদেশের ইউজিসি বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করবে। যেন ইউজিসি জানতে পারে বিদেশি শিক্ষার্থীরা কোথায় পড়তে আসছে।
এ বিষয়টি মাথায় রেখে শ্রীলংকার ইউজিসির সঙ্গে বাংলাদেশের ইউজিসি একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করবে।
আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তখনই হবে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর।
কর্মকর্তা জানান, তুরস্ক টেক্সটাইল শিল্পে বেশ উন্নত। তারাও টেক্সটাইল বিষয়ে বেশ কিছু বৃত্তি দেবে বাংলাদেশকে। এমন অালোচনা এগিয়ে চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
কেজেড/আরআই