বঞ্চিতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১৬ জন ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলের ১৩ জন কর্মচারী। আর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সব কর্মচারীকে বেতন-বোনাস দেওয়া হলেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় বঞ্চিত হয়েছেন ৩ কর্মচারী।
এই ৩২ কর্মচারী হলগুলোতে বাবুর্চি ও ওয়ার্ডবয় হিসেবে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির আগ থেকেই বেতন-বোনাসের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার পর তারা প্রভোস্টদের পিছু পিছু ছুটেও বেতন-বোনাস পাননি। হল প্রভোস্ট তাদের ফাইলে স্বাক্ষর না করেই ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট কমলেশ চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, এই কর্মচারীদের বেতন হল প্রশাসনের অধীনে। মাসের শেষে তাদের বেতন দেওয়া হয়। এ মাস এখনও শেষ হয়নি। তবে মানবিক কারণে ঈদের আগেই তাদের বোনাস দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট আমীর শরীফ দাবি করেন, এই কর্মচারীরা মাস্টার রোল ভিত্তিতে কাজ করেন বিধায় মাস শেষ হওয়ার আগে তাদের বেতন-বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমি সব কর্মচারীর বেতন-বোনাস নিশ্চিত করা করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তিন হলের এই ৩২ কর্মচারীর বেতন-বোনাস পাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। তারা ঈদের আগে যেন বেতন-বোনাস পান সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এইচএ/