বিদ্যালয়গুলো হলো-দীঘিনালা ক্ষেত্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মায়াফা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চমড়াছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বুধবার (০৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ভবনের কয়েক ফুট পাশেই পাহাড়ধসে নিচে পড়েছে।
মায়াফা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিএসসি পরীক্ষার্থী ধন্য চরণ ত্রিপুরা জানান, বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেয় স্যাররা। কিন্তু বুধবার বাসা থেকে জোর করে স্কুলে পাঠানো হয়েছে। এসে দেখি স্কুল বন্ধ।
একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জোবালি ত্রিপুরা, নাইলাটি ত্রিপুরা, নিমান চাকমা জানেন না তাদের বিদ্যালয়ে বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনের মতো তারাও বিদ্যালয়ে এসেছেন।
মায়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিপলু বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ধসের ঝুঁকি থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মঙ্গলবার থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে দুপুরে খাবার দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে।
পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় পার্বত্য জেলা পরিষদ গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের নিচে একটি ধারক দেয়াল নির্মাণ করে দেয়। কয়েকদিনের বর্ষণে বিদ্যালয়ের নিচের অংশের মাটি সরে যেতে শুরু করেছে। এতে করে পাহাড়ধসের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বিদ্যালয়গুলোতে।
চমড়াছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তন্ময়া চাকমা জানান, পাহাড়ধসের ঝুঁকি থাকায় মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনকে অবহিত করে বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, প্রবল ও মাঝারি বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় মঙ্গলবার উপজেলা দুইটি বিদ্যালয় ও বুধবার আরেকটি বিদ্যালয়সহ তিনটি বিদ্যালয় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
ওএইচ/