বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো তাদের।
বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে বিভিন্ন কোচিংয়ে ক্লাস ও বাইরে ঘোরাঘুরি করে অনেক ছাত্রই বাড়ি ফেরে।
দশম শ্রেণির ছাত্র জিসানুর রহমানের অভিভাবক মালা ইসলাম জানান, পরীক্ষার আগে বিদ্যালয়ের যাবতীয় বকেয়া পরিশোধ করেও পরীক্ষা দিতে পারেনি জিসান। এতে জিসানের আগামী পরীক্ষাগুলোর উপর বেশ চাপ পড়বে। বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থাকলে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না-এমন কোনো নোটিশও পাননি তিনি। তাই হঠাৎ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ছাত্র ও অভিভাবকদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাদমান সাফি তাজের অভিভাবক টিপু আল ইমরান জানান, পরীক্ষার দিন হুট করে এমন সিদ্ধান্ত যুক্তিসংগত নয়। বিষয়টি আগেই অভিভাবকদের জানানো উচিৎ ছিলো। এতে অভিভাবক ও ছাত্ররা সচেতন হতে পারতো।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রদীপ দত্ত জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকেলে দুই শিফটে মোট ৮৬ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে পারেনি। এর মধ্যে ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির সকালে শিফটের ১৮ জন এবং অষ্টম ও দশম শ্রেণির বিকেলের শিফটের ৬৮ জন।
প্রধান শিক্ষিকা রেজিনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে না। বিভিন্ন কোচিং-এ পড়ে তারা শুধু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শতকরা ৭০ ভাগ যাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নেই তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে এর আগেও অভিভাবকদের সচেতন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মুন্সী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল গেটের বাইরে বেশ কিছু অভিভাবক ও ছাত্ররা অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকরা আলোচনায় বসেছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
আরআর