প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎহীন স্কুলগুলোর মধ্য থেকে যেসব স্কুল বৈদ্যুতিক লাইন থেকে একটি খুঁটি দিয়ে সংযোগ দেওয়া সম্ভব এমন বিদ্যালয়গুলোকে এ কর্মসূচির মধ্যে নিয়ে আসছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বিদ্যুৎহীন যে সব বিদ্যালয়ে মাত্র একটি খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব সেগুলোতে সংযোগ দেওয়া হবে।
স্বল্পতম সময়ে এ রকম বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এছাড়া যে সব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়, সে সব বিদ্যালয়ে সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায় থেকে সবশেষ তথ্য তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২৬ হাজার ৮৭১টি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ৫৪ জেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে এক খুঁটি দূরত্বের বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩ হাজার ২০টি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, অবশিষ্ট জেলার তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সব জেলার তথ্য পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ে ফ্যান চালানো ও লাইট জ্বালানোর পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির জন্য কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যবহারের জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ (পিডিপি-৩) এর অনুকূলে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ব্যবস্থা নিতে গত ৮ মার্চ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংযোগ দেওয়া হলে ওয়্যারিং খরচ নিজস্ব অর্থায়নে করার নির্দেশনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।
তবে যে সব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এরূপ বিদ্যালয়ে সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য প্রদিবেদন এখনও মন্ত্রণালয়ে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ