বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আয়োজিত স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, অসাধু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে করে শিক্ষকদের চিরায়িত মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকেরা আজ প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পাঁচ হাজার থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করছে। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত তারা শিক্ষক নামে কলঙ্ক।
আমাদের অভিভাবকরাও এক্ষেত্রে এসব শিক্ষকদের সহায়তা করে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের এখন থেকে বলতে হবে আমি আমার মেধা, জ্ঞান, পরিশ্রম দিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করবো।
ভালো মানুষ গড়ে তোলার নিয়ামক শক্তি হলো শিক্ষক জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন। যাতে তারা নৈতিক শক্তি, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে ভালো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে।
নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে যারা বলছেন দেশে শিক্ষার মান কমছে। আপনারা চিন্তা ভাবনা ও গবেষণা করে কথাগুলো বলুন। দেশে শিক্ষার মান কমছে না বরং বাড়ছে।
'শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ' স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৮ কোটি ৩৫ হাজার ৮৬০ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ২০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এএম/এএটি/