লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগের ’১৫ ব্যাচের ছাত্র আ স ম রাগিব আহসান মুন্নাকে চলতি টার্মের রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার এবং হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগের ’১৫ ব্যাচের ছাত্র হুমায়ুন কবিরকে চলতি টার্মের জন্য বহিষ্কার এবং হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার, ইউআরপি বিভাগের ’১৫ ব্যাচের তরিকুল ইসলাম রাতিনকে হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং (ইউআরপি) বিভাগের ’১৫ ব্যাচের মোঃ নাহিদ হাসানসহ সবাইকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে এ ধরণের নিয়মশৃঙ্খলা পরিপন্থি অপরাধ সংঘটিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও ছাত্র শৃংখলা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষী যেই হোক, দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। অপরাধীকে কোন প্রকার ছাড় দিতে আমরা প্রস্তুত নই।
জানা যায়, ৫ মে রাত ১০টায় পরিচিত হওয়ার কথা বলে কুয়েটের অভিযুক্ত এই শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষের ৪০ জনকে হলের ছাদে নিয়ে যান। সেখানে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে একজন অচেতন হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তাকে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত র্যাগিং এর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদন এবং সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃংখলা কমিটির ১৩ জুলাই এর সভায় শাস্তির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম