উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের ৮০তম সভায় এ বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজেটে গবেষণা খাতে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং শিক্ষাখাতে সাত দশমিক ৬৯ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। পঞ্চান্ন কোটি পয়ত্রিশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ খাতে। যা মূল বাজেটের ৭৩.৩৯ শতাংশ।
শেকৃবি রির্সাচ সিস্টেমের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আক্কাস আলী বাংলানিউজকে বলেন, ছয় মাস পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল বের করার কথা। কিন্তু গবেষণাপত্রের অভাবে প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নাল বের করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, কমপক্ষে দশটি গবেষণাপত্র ছাড়া জার্নাল বের করা যায় না। আমাদের কাছে গত এক বছরে মাত্র চারটি গবেষণাপত্র এসেছে। গবেষণায় বরাদ্দ কম রাখায় শিক্ষকরা ঠিকমতো গবেষণা করতে পারছেন না বলে তিনি মনে করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণায় অনেক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে অনেক আলোচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে আশানুরুপ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি বলেই শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অর্থের এমন সংকট।
ঘোষিত বাজেট নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, বাজেটে সরকারের নিয়মনীতি অনুসরণ করে এবং সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার করে একাডেমিক উন্নয়নে শিক্ষা, আনুষঙ্গিক ও ছাত্র সহায়ক তহবিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া অপচয় রোধ এবং আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৭
জেডএস