রোববার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ৪জন শিক্ষার্থীকে আমরণ অনশন করতে দেখা যায়।
জানা যায়, শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইংরেজি বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিনা জাহান এবং রোববার (১৬ জুলাই) সকালে আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খান মুনতাছির আরমান অনশনে যোগ দেয়।
এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ইংরেজি বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সর্দার জাহিদুর রহমান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পূজা বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেন। তাদের অনশনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংহতি প্রকাশ করেছেন।
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা গতকাল রাতে শহীদ মিনারের পাদদেশেই রাত্রি যাপন করেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রোক্টরিয়াল বডি কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।
এদিকে অনশনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাস না পেলে অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বা দেখা দেখা করেননি।
শিক্ষার্থীদের অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, হঠাৎ তাদের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরকে হতবাক করেছে। কেন তারা অনশনে বসেছে, তারা এবং তাদের শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারতো। আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা ঠিক করা হত।
মামলার প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এখানে একটি আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। আমরা চাইলেই মামলা প্রত্যাহার করতে পারি না। তবে আমরা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করার বিষয়ে কতৃপক্ষকে তাগাদা দিতে পারি।
গত ২৭ মে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ৫৪জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
বিএস