সোমবার (১৭ জুলাই) বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাত্রলীগ নেত্রী ও বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের নিবসী শারমিন আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে বনমালী ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাখাওয়াত হোসেন।
মামলায় বিবাদীরা হলো ছাত্রীনিবাসের দুই নং ভবনের নিবাসী ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তার ও তার অনুসারী একই হলের নিবাসী ঝুমুর আক্তার ও ফাতেমা আক্তার।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদি এবং আসামিরা উভয়েই ছাত্রীনিবাসে একত্রে বসবাস করে। আসামিরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আতাত করে চলাফেরা করে। বাদিকে তাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে বললে বাদি প্রস্তাবে রাজী না হলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়।
বাদির কাছ থেকে ইতোপূর্বে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেয় আসামি হেনা আক্তার। ঘটনার আগের রাতে বাদিকে হুমকি দিয়ে বলেন তাদের কথায় যদি না চলো তাহলে রাস্তায় নামলে ওড়না নিয়ে যাবে।
ঘটনার দিন গত ১৪ জুলাই সকাল ১১টায় ছাত্রী নিবাসের ২ নং ভবনের সামনে আসামিরা বাদিসহ তিনজনকে হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় বাদির কাছ থেকে ৮৩ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বাদির ডাক চিৎকারে সাধারণ ছাত্রীরা এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এমএস/এএটি/