সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জবি শিক্ষার্থীদের বহনকারী দ্বিতল তিনটি বাসকে উল্টোপথে যেতে বাধা দেওয়ায় ছাত্রদের মারধরের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে রমনা থানায় ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের বাংলামোটর এলাকার সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় সার্জেন্টকে দায়িত্ব পালনের সময় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলে বাধা এবং সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জবির তিনটি বাস উল্টোপথে যেতে চাইলে বাধা দেন সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। তিনি ওই বাস চালকদের সঠিক পথে যেতে অনুরোধ জানান। এসময় ওই রাস্তায় বাস তিনটির কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে বাস তিনটিতে জবির অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্র নেমে ওই ট্রাফিক সার্জেন্টকে ঘিরে ধরে। ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি মেরে জখম করে এবং পুলিশের পোষাক ধরে টানা-হেঁচড়া করে।
পরে বাংলামোটরের দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন ও সার্জেন্ট আনিসুল হকসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
বাসে থাকা অন্য ছাত্ররা বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদের নিবৃত করে বাসে ওঠেন। বাস তিনটি পরে সঠিক লাইনেই ফার্মগেটের দিকে যায়।
এবিষয়ে মামলার বাদী ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাফিক আইন অনুযায়ী রাস্তায় যানবাহন চলাচলে নির্দেশনা ও সহযোগিতা করাই আমার কাজ। রাস্তায় অহেতুক যানজট তৈরি ও যানচলাচল গতিহীন করে উল্টোপথে যান চলাচল দণ্ডনীয় অপরাধ।
আমি বাধা দেওয়া জবির বাস তিনটি উল্টোপথ থেকে ফিরে সঠিক পথেই চলে যায়। তবে ছাত্ররা আমাকে মারধর করেছে এবং সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে, যা আইনত অপরাধ। যে কারণেই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
এসজেএ/জেডএস