ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

উচ্চশিক্ষার পর বহুজাতিক কোম্পানির চাকরিও মিলবে ভারতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
উচ্চশিক্ষার পর বহুজাতিক কোম্পানির চাকরিও মিলবে ভারতে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া শীর্ষক শিক্ষা মেলা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা খরচ বর্তমানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কম। এছাড়া শিক্ষাও মেলে আন্তর্জাতিক মানের। আবার উচ্চশিক্ষা শেষে সেদেশেই মিলছে আকর্ষণীয় সব চাকরি।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দু’দিনব্যাপী ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক শিক্ষা মেলার শেষ দিনে গিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।
 
মেলায় সব বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্যই স্টল নিয়ে বসেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

একেবারে ছোটদের জন্যও যেমন বিভিন্ন স্কুল এসেছে, তেমনি ওয়ার্ল্ডক্লাস বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসেছে।
 
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্টলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাওয়ায়, ভারতে পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েকে পাঠাতে অভিভাবকদের আগ্রহ বেড়েছে। কেননা, বাংলাদেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়েও ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ কম।
 
আবার শিক্ষার্থীরাও কোনো ঝামেলা ছাড়াই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এমনকি মেলাতেও অনেকে ভর্তি হওয়ার জন্য বুকিং দিয়েছেন।
 
শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে। এদিকে স্টলগুলোর কর্মকর্তারাও তাদের আগ্রহ দেখে খুব উচ্ছ্বসিত। স্টাডি ইন ইন্ডিয়া শীর্ষক শিক্ষা মেলা।  ছবি: জিএম মুজিবুর
 
বেঙ্গালুরুর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা মোস্তফা জাভেদ বাংলানিউজকে বলেন, এবারের মেলায় প্রায় ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় অভিভাবকদের আগ্রহ বেড়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী আরো বাড়বে।
 
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভারতে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাবাসসুম মুনিরা। বাবা তোয়াব আহমেদকে তাই মেলায় সঙ্গে করে এনেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সময় তুলনামূলক বেশি লাগে। আর ভাল মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যয় অনেক বেশি। সে তুলনায় ভারতের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ প্রায় অর্ধেক। তাই ভারতেই উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
 
মোস্তফা জাভেদ জানান, ভারতে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার একটা বড় সুবিধা হলো-সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির যোগাযোগ থাকে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে স্পট ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করে কর্মী নিয়োগ দেয়। এতে ভালরা সহজেই জব পেয়ে যায়।
 
অনেক বাবা-মাও একসঙ্গে এসেছেন মেলায়। উদ্দেশ্য ছোট সন্তানকে ভারতের কোনো ভাল স্কুলে ভর্তি করাবেন। এমন এক দম্পতি সাগর রহমান-রুবিনা ইসলাম। তারা বলেন, একমাত্র ছেলে সোলাইমান রিবেলের জন্যই মেলায় আসা। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ভারতের যে স্কুলটা ভাল হবে সেটাতেই ছেলেকে ভর্তি করাবো।
 
দ্যা সাগর স্কুল (THE SAGAR SCHOOL) ২০১০ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে উইনার অব ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। মেলায় স্টল নিয়ে মার্কেটিংয়ের কাজটি তারা ভালভাবেই করছে। অ্যাডমিশন অফিসার গুরসিমরান সিং বলেন, এ স্কুলে শুধু পাঠ্যসূচির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকে না। এখানে সফট স্কিল হিসেবে গান, বাজনা, খেলাধুলা, বিভিন্ন দর্শনীয় ও শিক্ষনীয় স্থান পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া হোস্টেলে হাউজপ্যারেন্টের মাধ্যমে সঠিক কেয়ার নেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ফলে ছেলে-মেয়েদের বিকাশ ভাল হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।