হঠাৎ করে জিপিএ-৫ এতো কমে যাওয়ার পেছনে পরীক্ষায় ‘স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ’ বা কাঠামোগত পরিবর্তন, ইংরেজিতে ১৮ শতাংশ ও আইসিটিতে ৮ শতাংশ ফেল এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগের বছরের তুলনায় কঠিন হওয়াকে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মূলত তিনটি কারণে এবার জিপিএ-৫ কম পাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা।
এবার ইংরেজিতে ১৮ শতাংশ ফেল করার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভাল ইংরেজি শিক্ষক পায় না। যে কারণে গ্রামের শিক্ষার্থীর যোগফলের সমীকরণে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে।
পাশাপাশি আইসিটি বিষয়ে অনেকে ফেল করেছে। এ বিষয়ে ফেল করার হার ৮ শতাংশ। এসব কারণ ছাড়াও এবারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গতবারের তুলনায় কঠিন হওয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ধস নামার অন্যতম কারণ।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিলো ৬৮.৫৯ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার কিছুটা বাড়লেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ধস নেমেছে।
এবার জিপি-৫ পাওয়া ৭শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ৪৫৫ এবং মেয়ে ২৪৫ জন।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ হাজার ৪৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৮ হাজার ৭৪৬ জন। পাসকৃতদের মধ্যে ছেলে ৪ হাজার ৭৪০ জন, মেয়ে ৪ হাজার ৬ জন। বিজ্ঞান বিভাগে শতকরা পাসের হার ৮৩.৪৭ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ ৬০৫ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছেলে ৩৯০ এবং মেয়ে ২১৪ জন।
মানবিকে ৪৩ হাজার ২৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৯ হাজার ৩৫৬ জন। যার মধ্যে ছেলে ১১ হাজার ২০৮ জন এবং মেয়ে ১৮ হাজার ১৪৮ জন। এ বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মোট ২৬ জন। এর মধ্যে ছেলে ১০ মেয়ে ১৬ জন।
ব্যবসায় ১১ হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষা নিয়ে পাস করেছে ৮ হাজার ৬৯৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৮২ জন এবং মেয়ে ৩ হাজার ৬১৩ জন। এ বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ৭০ জন। যার মধ্যে ছেলে ৫৫ এবং মেয়ে ১৫ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবছর রেজিস্ট্রেশনকৃত মোট ৬৫ হাজার ৪৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৬ হাজার ৭৯৭জন। এদের মধ্যে ছেলে ২১ হাজার ৩০ ও মেয়ে ২৫ হাজার ৭৬৭ জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এনইউ/বিএস